মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: বাসস ফাইল ছবি

জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে (নিরাপত্তা সম্মেলন) অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

২০১৮ সালে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেও শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন দিয়ে তাঁর বিদেশ সফর শুরু করেন।

৬০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও পৃথিবীর বিখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ নেতৃত্ব নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ২০২৩ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ফ্রান্স ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
আজ দুপুরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপোয় ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে গুটিকয় দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, দেশ দুটি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।’

জার্মানি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফ্রান্সও আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ওপরের দিকে।’

মুক্তিযুদ্ধের পর জার্মানি ও ফ্রান্সে বাংলাদেশ থেকে অনেক যুদ্ধশিশুদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর জার্মানিতে আমাদের যুদ্ধশিশুদের নেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধশিশু বলতে তাদের বোঝায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কারণে যেসব শিশুর জন্ম হয়েছিল। অনেক যুদ্ধশিশুকে জার্মানি নিয়ে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরে ফ্রান্সেও কিছু গিয়েছিল। তবে জার্মানিতে ব্যাপক হারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে, যাঁরা পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। আমি এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’