পাইকগাছায় বাঁধ ভেঙে ৫০০ মাছের ঘের প্লাবিত

শিবসা নদীর জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার অন্তত পাঁচ শ মাছের ঘের ও পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে কাজ করে বাঁধটি মেরামত করেছে।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে শিবসা নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। বুধবার তোলা ছবি। প্রথম আলোপ্রথম আলো

শিবসা নদীর জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার অন্তত পাঁচ শ মাছের ঘের ও পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে বাঁধ মেরামতের কাজ করেছেন।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে বুধবার সকালে শিবসা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। পরে এলাকাবাসী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেন।
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল পাইকগাছার শিবসা নদীর বায়েরঝাপা এলাকার বাঁধ ভেঙে গেলে সোলাদানা ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রামে সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে যায়। এ ছাড়া বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ওই এলাকার অন্তত ৫০০ ছোট-বড় মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। গতকাল দুপুর থেকে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বুধবার রাতে আবার তা ভেঙে যায়। এ কারণে সারা রাত ধরে মানুষ বাঁধ নির্মাণে কাজ করেছেন। সকালের দিকে তাঁদের ওই কাজ শেষ হয়।

ভাঙ্গাহাড়িয়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বাঁধের ভাঙনকবলিত ওই এলাকাটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ কারণে দুই বছর পরপর জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় বাঁধ বারবার ভেঙে যাচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় ওই বাঁধের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ আবার ভেঙে গেছে। এলাকাবাসী সারা রাত ধরে চেষ্টা করে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছেন।
এস এম এনামুল হক, চেয়ারম্যান, সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদ,পাইকগাছা

এ বিষয়ে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় ওই বাঁধের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ আবার ভেঙে গেছে। এলাকাবাসী সারা রাত ধরে চেষ্টা করে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছেন। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বায়েরঝাপা, টেংরামারি, মাঝের আবাদ, ছোট বায়েরঝাপা গ্রামসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর পাইকগাছা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য অনেক আগেই দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট ভেঙে পোল্ডারের অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়ে। শিগগিরই বাঁধের ওই অংশের সংস্কারকাজ শুরু হবে।