ডিসেম্বরের মধ্যে ইউটার্ন চালুর প্রতিশ্রুতি মেয়র আতিকুলের
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ইউটার্ন নির্মাণের কাজ শেষ করে সেগুলো যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা থেকে তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো পর্যন্ত বিভিন্ন ইউটার্ন নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মেয়র এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মেয়র বলেন, আগে উত্তরার রাজলক্ষ্মী ও জসীমউদ্দীন বাসস্ট্যান্ডে প্রচুর যানজট হতো। এখন ওই দুই জায়গায় কোনো ট্রাফিক সংকেত ছাড়াই গাড়ি চলাচল করতে পারে। যানজটও আর আগের মতো হচ্ছে না। ইউটার্নগুলো চালু হয়ে গেলে, উত্তরা থেকে তেজগাঁও যেতে এখন যে সময় লাগে, সেই সময়ের শতকরা ৭০ ভাগ সময় কমে যাবে। ভালো কাজ কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘২০১৬ সালে এই কাজের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে কাজটি থেমে গিয়েছিল। প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই আমি আনিসুল হকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি করেছিলাম। ইউটার্ন আনিসুল হকের স্বপ্নগুলোর মধ্যে অন্যতম।’
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএম কনস্ট্রাকশন ইউটার্ন নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু শুরুতে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কিছু স্থাপনা ভাঙতে গেলে তারা বাধা দেয়। সংশোধিত প্রকল্পে সওজের স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করায় সমস্যা কেটে গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক সাতরাস্তা মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের ১১টি স্থানে ইউটার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে উত্তরার জসীমউদ্দীন, রাজলক্ষ্মী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় ইউটার্ন নির্মাণের কাজ শেষ। কাওলা বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে, বনানী উড়ালসড়কের নিচে, বনানী-কাকলী রেলস্টেশন, চেয়ারম্যানবাড়ী, মহাখালী উড়ালসড়ক, মহাখালী আন্তনগর বাস টার্মিনাল ও কোহিনূর কেমিক্যালস থেকে সাতরাস্তা ইন্টারসেকশনসহ সাতটি স্থানে ইউটার্ন নির্মাণের কাজ চলছে। সংশোধিত প্রকল্পে আর্মি গলফ ক্লাবের সামনের ইউটার্ন নির্মাণের পরিকল্পনা বাদ পড়ে।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শুরুতে ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের জন্য ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। সংশোধিত প্রকল্পে ১০টির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। একটি ইউটার্ন নির্মাণের কাজ বাদ গেলেও আগের থেকে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
ইউটার্ন নির্মাণের কাজ পরিদর্শনের সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলামসহ ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।