ফরিদপুরে করোনা শনাক্তের হার ২৬.৫৪ শতাংশ
ফরিদপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শনাক্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৪ জন।
এ জেলায় করোনা রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। প্রায় চার মাসে আজ সোমবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫০। তবে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৪৮৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এ পর্যন্ত ল্যাবে ২০ হাজার ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ভিত্তিতে জেলায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে সদর উপজেলায়। এ উপজেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৮৬ জন। অর্থাৎ, মোট শনাক্তের ৫৫ দশমিক ৮১ ভাগ রোগী সদরে। আর মারা গেছেন ২৩ জন।
অন্য উপজেলাগুলোর মধ্যে শনাক্তের দিক থেকে যথাক্রমে রয়েছে ভাঙ্গায় ৫২০ জন, বোয়ালমারীতে ৪৭১, নগরকান্দায় ৩১৪; পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মধুখালীতে ৩০৭ জন, সদরপুরে ২৬৪, চরভদ্রাসনে ২০১, আলফাডাঙ্গায় ১৬৮ এবং সালথায় ১১৯ জন।
মৃত্যুবরণকারী ৫৪ জনের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ২৩ জনের পর ভাঙ্গায় মারা গেছেন ১৩ জন, সদরপুরে ৭ জন, বোয়ালমারীতে ৬ জন এবং আলফাডাঙ্গা, নগরকান্দা, মধুখালী, চরভদ্রাসন ও সালথায় ১ জন করে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই একই সময়ে সুস্থ হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৩ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে প্রথম করোনা শানক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। এরপর দুই মাস ফরিদপুরের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। কিন্তু গত ঈদুল ফিতরের পর হঠাৎ করে করোনা রোগী বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে আশার কথা, শনাক্ত বেশি হলেও মৃত্যুর হার অনেক কম। ফরিদপুরে এ পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী মারা গেছেন, যা শনাক্তের তুলনায় এক ভাগ।
ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর ইসলাম জানান, কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২০ এপ্রিল থেকে করোনা শানক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এ ল্যাবে ২০ হাজার ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, মানুষের মধ্যে করোনাভীতি তেমন কাজ করছে না। মুখে ভয়ের কথা বললেও স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মানার ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, ‘মানুষ একটু সচেতন হলে আমরা ইতিমধ্যে অনেক ভালো অবস্থানে চলে যেতে পারতাম।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি গঠন করেছি। আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সুস্থের সংখ্যাও কম নয়। পাশাপাশি মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম।’