একটি পা পড়ে ছিল পুকুরের পাশে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ভাসা গোকূলনগর গ্রাম থেকে আজ শুক্রবার বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার করেছে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ। ওই পা নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে শামীম ভুঁইয়ার (৩৮) বলে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন। তবে নিশ্চিত হতে পা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ভাসা গোকূলনগর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বিচ্ছিন্ন পা (হাঁটুর নিচ থেকে পাতা পর্যন্ত) পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পা উদ্ধার করে।
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বলেন, পা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নান্দাইল থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন শামীম ভুঁইয়া। পথে একদল দুর্বৃত্ত শামীম ভুঁইয়াকে কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিএনজিচালিত অটারিকশা থেকে নামিয়ে শত শত লোকের সামনে মারধর করে। একপর্যায়ে তাঁর ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে একটি ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শামীমের ভাই রুবেল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিনই পুলিশ জান্নাত উল্লাহ (২৮) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মামলার ২০ জন আসামি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান। অন্যদিকে আহত শামীম প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, পরে নগরের একটি ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ উদ্ধার হওয়া ওই পা শামীমের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শামীমের ভাই রুবেল ভুঁইয়া অভিযাগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ভাইয়ের ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।