শিবচরে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত একজন, আহত ৫
মাদারীপুরের শিবচরে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর মাতুব্বর (৫৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় নারীসহ আহত হন অন্তত পাঁচজন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাবিলপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে পাট জাগ দেওয়ার জন্য কচুরিপানা সংগ্রহ করছিলেন এলাকার কয়েকজন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের সঙ্গে বাচ্চু মাতুব্বরের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়য়ের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় টেঁটার আঘাতে জাহাঙ্গীর মাতুব্বর গুরুতর আহত হন। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের আহত হন অন্তত ৫ জন। তাঁরা হলেন চায়না বেগম (৪০), কাদির মাদবর (৭০), জামাল হোসেন (৪৫) ও কামাল (৪০) রাজিয়া বেগম (৩৫)। আহত ব্যক্তিদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নারগিস বেগম বলেন, সকালে জলাশয়ের কচুরিপানা সংগ্রহ নিয়ে কথা–কাটাকাটির সময় তাঁর স্বামীকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করেছেন বাচ্চু মাতুব্বর। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শিবচর থানার একদল পুলিশ। তারা সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বাচ্চু মাতুব্বরসহ চারজনকে আটক করেছে।
আটক হওয়ার আগে বাচ্চু মাতুব্বর বলেন, ‘আমার লোকজন জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালায়নি। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। পরে জাহাঙ্গীর মারা গেলে সেই দায় আমাদের দিকে চাপানো হচ্ছে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাচ্চুর সঙ্গে জাহাঙ্গীরের জমি নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় জাহাঙ্গীরের কপালে টেঁটার আঘাত লাগলে তিনি মারা যান। পুলিশ বাচ্চু মাতুব্বরসহ চারজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।