পানিতে ডুবে ছিল কলেজছাত্রের রক্তাক্ত লাশ
রাজশাহীর বাগমারায় গতকাল সোমবার দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত এক কলেজছাত্রকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আহত তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অপরজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আহত একজনের জ্ঞান ফিরলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পানির নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কলেজছাত্র আবু রায়হানকে (২০) উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কলেজছাত্র আবু রায়হান উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের করখন্ড গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। তিনি রাজশাহী নগরের বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে আবু রায়হান তাঁর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মাড়িয়া মোড় থেকে দামনাশের দিকে যাচ্ছিলেন। গোবিন্দপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলে থাকা চারজন যাত্রী সড়কে ও আশপাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তিনজনকে উদ্ধার পাশের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মোটরসাইকেলে থাকা আবু রায়হানের খোঁজ মিলছিল না। পরে তাঁর সহযাত্রীর জ্ঞান ফিরলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবু রায়হানকে উদ্ধার করে কেশরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আল মামুন প্রথম আলোকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবু রায়হান রাজশাহী শহরে থাকতেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি বাড়িতে আসেন। গতকাল ঘুরতে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে প্রাণ হারালেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। আহত সবাই একই উপজেলার বাসিন্দা ও বয়সে তরুণ।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, কোনো আপত্তি বা অভিযোগ না থাকায় নিহত কলেজছাত্রের লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।