১৭ পৌরসভা-সিটির ৩ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে পিপিই বিতরণ

দেশের ১৬টি পৌরসভা ও ১টি সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) সহায়তা দিয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাল্টিসেক্টরাল সিভিক প্ল্যাটফর্ম হেলদি বাংলাদেশ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। গতকাল সোমবার পিপিআরসির দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

হেলদি বাংলাদেশের ‘ক্লিন সিটিস’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়, যা গত ২৫ জুন মৌলভীবাজার পৌরসভায় প্রথম বিতরণ শুরু হয়। গত রোববার সিলেট সিটি করপোরেশনে পিপিই বিতরণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শেষ হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত নবম ও শেষ ভার্চ্যুয়াল সেশন উদ্বোধন করেন হেলদি বাংলাদেশের আহ্বায়ক, পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি সিলেটের মেয়র এবং তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিজ নিজ শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে একটি হাইজেনিক বাংলাদেশ অর্জনের দিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শহরগুলো পরিষ্কার রাখা স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি আকারে প্রায় সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা নির্ভীকভাবে আমাদের রক্ষা করতে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো সরবরাহ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই সহায়তার জন্য হেলদি বাংলাদেশ, পিপিআরসি ও ইউএনডিপির প্রশংসা করেন।

হেলদি বাংলাদেশ, পিপিআরসি ও ইউএনডিপি পাবনা, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ধামরাই, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, মোংলা বন্দর, মৌলভীবাজার, নীলফামারী, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, শরীয়তপুর, সাতক্ষীরা ও সিলেট সিটি করপোরেশন পিপিই দিয়েছে।

রোববারের অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদের, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এ এম এম নাসিরউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এ ফয়েজ, ইউএনডিপির হেড অব পভার্টি অ্যান্ড আরবানাইজেশন আশেকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।