টঙ্গীতে বেতন ও বাড়তি ছুটির দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের টঙ্গীতে চলতি মাসের বেতন ও ঈদে বর্ধিত ছুটির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা স্থানীয় ভিয়েলা টেক্স নামের একটি কারখানার শ্রমিক। তাঁরা সবাই এক হয়ে সকাল আটটার দিকে টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা ঈদুল আজহা উপলক্ষে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ১২ দিনের ছুটি দাবি করেছেন। সঙ্গে চলতি মাসের পূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস। কিন্তু কারাখনা কর্তৃপক্ষ ৮ দিনের ছুটি ও ১৫ দিনের বেতন ও বোনাস দিতে রাজি হয়। কিন্তু শ্রমিকেরা তা মানেননি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছিল। এর মধ্যে আজ সকালে শ্রমিকেরা কাজ করতে এসে দেখেন কারখানা বন্ধ। কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝুলছে। এটা দেখে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হয়ে ওঠেন। তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) মো. রাজ্জাকুল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকদের এসব দাবিদাওয়া নিয়ে শনিবার বিজিএমইএর লোকজনসহ কয়েকজন শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে বসার কথা ছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু শ্রমিকেরা সেই সুযোগ না দিয়ে রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ধাওয়ায় আমাদের এসপি স্যার আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’