সিঙ্গাপুর থেকে আগাম জামিনের আবেদন তাঁদের
>ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম শুরুর পর গত তিন মাসে হাইকোর্টে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো নজির নেই। আইনের দৃষ্টিতে দেশের বাইরে থেকে আগাম জামিনসহ আদালতে কোনো ধরনের প্রতিকার চাওয়া যায় না
বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার। তাঁদের জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের সোমবারের কার্যতালিকায় মোশন (নতুন আবেদন) হিসেবে এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। তাঁরা সিঙ্গাপুরে থেকে আগাম জামিন চেয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের তথ্য, ওই মামলায় রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের আগাম জামিনের আবেদনটি ২ জুলাই ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, 'রন হক শিকদার অ্যান্ড এনাদার বনাম রাষ্ট্র' শিরোনামে আবেদনটি ওই বেঞ্চের সোমবারের কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আজমালুল হোসেন কিউসি, সাঈদ আহমেদ ও মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুনের নাম রয়েছে।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে আটক ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার আগাম জামিন চেয়ে আবেদন দিয়েছেন। ভার্চুয়াল কোর্টে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম শুরুর পর গত তিন মাসে হাইকোর্টে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো নজির নেই। আবেদনকারীদের স্বীকৃত মতে তাঁরা দেশের বাইরে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেছেন। আইনের দৃষ্টিতে দেশের বাইরে থেকে আগাম জামিনসহ আদালতে কোনো ধরনের প্রতিকার চাওয়া যায় না।
গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় ওই মামলাটি করে। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ মে ঘটনাটি ঘটে। এক্সিম ব্যাংক মামলা করে ১৯ মে। পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরেই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে সাক্ষর নেন।
আরও পড়ুন: