হাতিয়ায় করোনায় ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম এ বি এম নোমান (৫৮)। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নোমান সোনালী ব্যাংক তমরুদ্দি শাখার ক্যাশিয়ার ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়িও তমরুদ্দি এলাকায়। হাতিয়া উপজেলায় করোনায় এটি প্রথম মৃত্যু। এর মধ্য দিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৭।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও করোনা ফোকাল পারসন মো. নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা এ বি এম নোমান ১১ জুলাই হালকা জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১২ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। কিন্তু এর তিন দিন পর তাঁর জ্বর বেড়ে যায় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে তিনি মারা যান।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৭। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। আর মারা গেছেন ৫৭ জন।
নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় চারজন, সুবর্ণচরে পাঁচজন, হাতিয়ায় নয়জন, বেগমগঞ্জে পাঁচজন, কোম্পানীগঞ্জে নয়জন ও কবিরহাট উপজেলায় সাতজন রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সিভিল সার্জন।