জামালপুরে বানের পানি কমছে ধীরে
জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমছে ধীরে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠঘাটে এখনো রয়েছে বন্যার পানি। খাদ্যসংকটসহ নানা দুর্ভোগে রয়েছে বানভাসি মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমার ধরন অন্যবারের থেকে আলাদা। খুব ধীরগতিতে পানি কমছে। যেটুকু পানি কমছে, তাতে বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার বন্যায় ৭টি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৪টি পৌরসভাও বন্যাকবলিত হয়েছে। ওই ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬২৫টি গ্রামের ৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৫৭৭ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যার্ত মানুষের জন্য ইতিমধ্যে জেলায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।