রেড জোনে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও

রেড জোন (লাল তালিকাভুক্ত এলাকা) হওয়ায় বাইরে বের হওয়া নিষেধ। এ কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। এসব পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। অনেক পরিবার সহায়তার জন্য আবেদন করেছিল উপজেলা প্রশাসনের কাছে। বৃহস্পতিবার এমন ৪০টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এই ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার লাল এলাকাভুক্ত ৪, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের। দুপুরে এসব ওয়ার্ডের ৪০টি বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বি এম মশিউজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারী প্রমুখ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ পর্যন্ত ৬৭৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১২ জন। তাঁদের মধ্যে পৌর এলাকার ৪, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডেই রয়েছেন অর্ধশতাধিক রোগী। এ ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়া রোধে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাইক ও কালাইশ্রী পাড়া, ৫ নম্বরের মধ্যপাড়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া মহল্লাকে রেড জোন ঘোষণা করে প্রশাসন। ১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এসব এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়। এ কারণে এসব এলাকায় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। জরুরি ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া ৪০টি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন। এর মধ্যে পাইকপাড়ার ১৫টি, মধ্যপাড়ার ১২টি ও কাজীপাড়ার ১৩টি পরিবার রয়েছে।

ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, এর আগেও ৩০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি করে ডাল, আটা, পেঁয়াজ, আলু, পটোল, বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন ও আম এবং ২টি আনারস, ১টি মিষ্টিকুমড়া ও ১টি নুডলসের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।