করোনায় জেলা জজের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া প্রথম বিচারক তিনি।
আজ বুধবার রাত আটটায় তিনি ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ফেরদৌস আহমেদ চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বুধবার রাত আটটায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জামালপুর শহরে মরহুমের জানাজা ও পরে সেখানেই তাঁর দাফন হবে। ১৯৮৪ সালে বিচার বিভাগে মুন্সেফ হিসেবে (সহকারী জজ) হিসেবে যোগদান করেন ফেরদৌস আহমেদ।
এর আগে ২৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানানো হয়, দেশের অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আদালতের ৯৭ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ২৬ জন এবং অধস্তন আদালতের ৭১ জন কর্মচারী রয়েছেন।
বিচারক ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশের মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ আইন সমিতিও শোক প্রকাশ করেছে লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুতে ।