'কামরানের মৃত্যু সিলেটবাসীকে অপার শূন্যতায় ভাসাচ্ছে'

শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন নয়, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছিল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। সিলেটের গণমানুষের সঙ্গে তাঁর যেমন ছিল আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, তেমনই সংস্কৃতিকর্মীদের সুখ-দুঃখেও তিনি সব সময় পাশে থাকতেন। সংস্কৃতির প্রতি এমন নিখাদ প্রেম এখনকার রাজনীতিকদের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না। তাঁর মৃত্যু সিলেটবাসীকে অপার শূন্যতায় ভাসাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। জুম মিটিং অ্যাপসের মাধ্যমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।


আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্তের সঞ্চালনে শোকসভায় সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন। এর মধ্যে নাট্যব্যক্তিত্ব নিজাম উদ্দিন লস্কর, প্রবীণ সংগীতশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রাণাকুমার সিনহা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, নাট্যব্যক্তিত্ব মু. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিভাস শ্যাম পুরকায়স্থ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, প্রবাস নাট্যসংগঠক মুরাদ খান ও শক্তিব্রত হাওলাদার, নাট্যব্যক্তিত্ব নীলাঞ্জন দাশ, আবদুল কাইয়ূম মুকুল, খোয়াজ রহিম সবুজ, ফয়সল মহসিন, উজ্জ্বল দাস, সুপ্রিয় দেব ও অচিন্ত্য অমিত এবং নৃত্যশিল্পী নীলাঞ্জনা দাশ।

শোকসভায় বক্তারা আরও বলেন, প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান কর্মে-কীর্তিতে, মেধা-মননে, স্নেহ-ভালোবাসা ও সখ্যে অনন্য এক স্বাক্ষর রেখে গেছেন সিলেটের মাটি ও মানুষের সঙ্গে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের এক বিমূর্ত কারিগর। তাঁর মৃত্যুতে শোক ও সহানুভূতির ঢেউ আছড়ে পড়ছে দেশজুড়ে। তাঁর এই চলে যাওয়া গভীরতর এক বিষন্নতা তৈরি করেছে।