পাবনায় কোভিড রোগী বাড়ছে, দুই উপজেলা রেড জোন

পাবনার সদর ও সুজানগর উপজেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর বাইরে ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলাকে ইয়েলো জোন এবং বেড়া, সাঁথিয়া, চাটমোহর ও ফরিদপুর উপজেলাকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

৯ উপজেলায় কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েই চলছে। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সর্বশেষ ফলাফলে ১০ জন পজিটিভ নিয়ে জেলায় মোট ২১২ জন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হারে শীর্ষে রয়েছে জেলা সদর উপজেলা।
আজ সন্ধ্যায় জেলা করোনাভাইরাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জোনভিত্তিক প্রতিটি উপজেলায় পৃথক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সদর উপজেলা। মোট শনাক্তের মধ্যে ১১৩ জন রয়েছে জেলা সদরে। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে ১৬ জন, সুজানগরে ৩৩ জন, আটঘরিয়ায় ১১ জন, সাঁথিয়ায় ১৬ জন ও ভাঙ্গুড়ায় ১২ জন; চাটমোহরে ৬ জন, ফরিদপুরে ৪ জন ও বেড়া উপজেলায় ১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলার বেশি সংক্রমিত গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা ভাগ করে লকডাউনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্যদের মধ্যে অনেকের শরীরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কোনো উপসর্গ নেই। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতাল আইসোলেশনে ও অন্যদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সংক্রমণ রোধ করতে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জোন বিবেচনায় বুধবার থেকে আরও কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত দেড় মাসে ৩৬ জনের করোনা শানাক্ত হয়। জুন মাসে মাত্র ১৬ দিনে এ সংখ্যা ২১২–তে পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন।