নরসিংদীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনার (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে থাকার পর অবশেষে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে নরসিংদী শহরের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতাল থেকে রাজধানী ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এন এম মিজানুর রহমান।

করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম শ্যামল সাহা (৪১)। তিনি নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার তুলসী সাহার ছেলে ও বাবুরহাটের পাকিজা টেক্সটাইল মিলের একজন শ্রমিক ছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, শ্যামল সাহা ৮-১০ দিন ধরে করোনার উপসর্গ জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে শরীরে এসব উপসর্গ থাকার পরে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা গতকাল সোমবার তাঁকে করোনা ডেডিকেটেড ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। এরপরই ক্রমে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানী ঢাকার কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পরে আজ ভোরে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

মারা যাওয়া শ্যামল সাহার ছোট ভাই গোবিন্দ সাহা জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই তিনি জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছিলেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া না গেলেও আজ ভোরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।