কর্ণফুলির পানির লবণাক্ততা কমায় সার উৎপাদনে সিইউএফএল
চট্টগ্রাম ইউরিয়া সারকারখানা লিমিটেডে (সিইউএফএল) আজ সোমবার সকাল থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পানিতে লবণাক্ততা কমায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় উৎপাদন শুরু হয়।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় সিইউএফএলে উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত ৩ এপ্রিল উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু কর্ণফুলী নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় পরের দিনই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আজ আবার সার উৎপাদনে গেল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই কারখানা।
কারখানার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, কারখানা চালু থাকলে প্রতি ঘণ্টায় ৮০০ মেট্রিক টন করে দৈনিক ১৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন মিঠা পানির প্রয়োজন হয়। কারখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কালুরঘাট ওয়াটার প্ল্যান থেকে পানি এনে প্রতিষ্ঠান চালানো হয়। কিন্তু কর্ণফুলী নদীতে পানির লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামতো পানি নেওয়া সম্ভব হয় না।
সিইউএফএল সিবিএর সহসম্পাদক মো. ইমরান খান বলেন, 'কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট এলাকা থেকে আমাদের কারখানায় পানি আনা হয়। সেখানে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে কারখানায় পানি আনা সম্ভব হয় না। বর্তমানে পানিতে লবণাক্ততা কমে আসায় কারখানায় মিঠা পানি আনা সম্ভব হচ্ছে। ফলে পুরোদমে ইউরিয়া উৎপাদন হচ্ছে।'
সিইউএফএলের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, 'আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।'
১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। সচল থাকলে দৈনিক ১৭০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন ১৪০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হচ্ছে বলে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন। বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া।