বগুড়ায় সপ্তাহের মাথায় আবার প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়া শহরে সাত দিনের ব্যবধানে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে আরেক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের নারুলী আকাশতারা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম শাকিল (৩৫)। তিনি শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে কিছুদিন ধরে থাকতেন শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকায়। শাকিল ২০১৫ সালের ৬ মার্চ সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যাসহ দুটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিন নামের একজনের স্ত্রীর সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জেরে পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে রাত সাড়ে আটটার দিকে বগুড়া শহরের উপকণ্ঠ সাবগ্রাম এলাকায় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় রাতুল ইসলাম নামের তাঁর এক সহযোগীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। মনিরুজ্জামান মানিক বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি এবং রাতুল যুবলীগের কর্মী ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন শাকিল।
পুলিশ বলছে, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মানিক ছাড়াও ২০০৯ সালে চেলোপাড়া এলাকায় রাব্বী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি ছিলেন শাকিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, বগুড়া শহরের ব্যস্ততম নারুলী-সাবগ্রাম সড়কের আকাশতারা এলাকায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ শাকপালা মোড়ে মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্যে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধেও ২০১৩ সালের ২৬ মে শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রামে যুবলীগ নেতা মজনু এবং তাঁর ভাতিজা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা মামলা ছাড়াও চারটি হত্যাসহ নয়টি মামলা রয়েছে।