নবীনগরের চার এলাকা 'রেড জোন'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌরসভার চারটি এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন। কাল শুক্রবার থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এসব এলাকায় জরুরি সেবা ছাড়া যান ও নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ–সংক্রান্ত কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ পর্যন্ত জেলায় ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নবীনগর উপজেলায় ৯৫ জন। এর মধ্যে একই পরিবারে ১২ জন এবং পৌর মেয়র শিব শংকর দাসের পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ–সংক্রান্ত কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম। সভায় জানানো হয়, গত কয়েক দিনে করোনায় সংক্রমিত ৪০ জনের অধিকাংশ লোকের বাড়িই পৌরসভার এলাকায়। সভায় পৌরসভার কলেজপাড়া, টিএনটিপাড়া, উপজেলা পরিষদ এলাকা নিয়ে হাসপাতালপাড়া, পৌর মেয়রের বাড়ির ভোলাচং ও এর আওতাধীন ঋষিপাড়াকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন আরও জোরদার করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব এলাকায় ১২ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ৫৫ জনই পৌর এলাকার বাসিন্দা। একই পরিবারের ১২ সদস্যসহ ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, রেড জোনে প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকবে। জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাস্ক না পরায় ৪২ জনকে ৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।