ঢাকায় লাল-হলুদ-সবুজ এলাকা ভাগ করে লকডাউন শুরু হচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যেই

করোনার বিস্তার ঠেকাতে অনেক জায়গায় লকডাউন করা হয়েছে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
করোনার বিস্তার ঠেকাতে অনেক জায়গায় লকডাউন করা হয়েছে। প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করার কাজটি একেবারে শেষ পর্যায়ে। দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হতে পারে এলাকাভিত্তিক লকডাউন (অবরুদ্ধ)। তবে কোনো বৃহৎ এলাকাকে নয়, বড় এলাকার যে অংশে সংক্রমণ বেশি থাকবে কেবল সেই এলাকাটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হবে।

তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর সিটি করপোরেশনের কেবল পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে লাল এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করে লকডাউন শুরু হবে।

আগামীকাল সোমবার রাত বা পরদিন থেকে এই এলাকাটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান। তিনি আজ সন্ধ্যায় বলেন, এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। যদি কালকের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায় তাহলে কাল রাত থেকেই, না হয় পরদিন মঙ্গলবার থেকে পূর্ব রাজাবাজার এলাকাটি লকডাউন হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শেষ হলেই অন্যান্য এলাকাতেও এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জের তিনটি এলাকায় রোববার (৭ জুন) লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে। এরপর থেকে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অবনতি হয়। এমন অবস্থায় ১ জুন সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকাকে ‘রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে’ ভাগ করে ভিন্নমাত্রায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কী প্রক্রিয়ায় সেটি হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান রোববার প্রথম আলোকে বলেন, লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন ধরনের এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজটি বিশেষজ্ঞরা করছেন। সেটি হওয়ার পরই সরকারে সিদ্ধান্তে তা কার্যকর হবে। তবে ঢাকার দু-একটি জায়গায় দু-একদিনের মধ্যে তা চালুর চেষ্টা চলছে।

‘রেড জোনে’ বিশেষ ব্যবস্থায় মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাবাজার এলাকার কিছু অংশে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় সেটিকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীর একটি অংশকে লকডাউন ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে রেড জোনকে ইয়েলো জোনে ও ইয়েলো জোনকে গ্রিন জোনে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।