করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণে অনলাইনে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আর বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত (৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত) ট্রাইব্যুনালের অফিসের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে আজ রোববার জারি করা এক অফিস আদেশে এমন তথ্য জানা গেছে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি, ১৫ জুন পর্যন্ত বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত (৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিসের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
অফিস আদেশে ছয়টি নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, ১) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ/ভবন/এজলাস কক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২) এ সময়ে সীমিত পরিসরে অফিসের কাজ পরিচালনার জন্য বয়স্ক, ঝুঁকিপূর্ণ ও গর্ভবতী কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য সবাই মাস্ক পরিধান করে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে উপস্থিত থাকবেন। ৩) করোনাকালের এ সময়ে বিদ্যমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং এই পরিস্থিতিতে সাক্ষীদের ট্রাইব্যুনালে উপস্থিতির বিষয়টি অনিশ্চিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা সূত্রে কারাগারে আটক থাকা আসামিদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে না আনার চলমান সিদ্ধান্তটি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪) চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে এবং এরপরে কোনো তারিখে ধার্য থাকা, যদি থাকে মামলাগুলোর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ বিষয়ে বিচারপতিরা অনলাইনে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন। ৫) ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে এবং এরপরে কোনো তারিখে ধার্য থাকা, যদি থাকে মামলাগুলোর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট আদেশে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর তা প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স পক্ষের আইনজীবীদের অবহিত করতে হবে। ৬) এই আদেশে প্রদত্ত নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের জন্য ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে পরে প্রথম আলোকে বলেন, অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিস আদেশের অনুলিপি আইনসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাবর পাঠানো হয়েছে।