করোনায় আক্রান্ত হলেন জাবির আরেক শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকার সাভারে নিজেদের বাসায় ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মামার সংস্পর্শে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।সোমবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ্য।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর মামা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত। গত ১২ মে তিনি সাভারে তাঁদের বাসায় যান। এরপর গত ১৯ মে ওই শিক্ষার্থীর মামা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এর মধ্যেই ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। পরে গত শনিবার তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজের নমুনা দিয়ে আসেন। ওই শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরেই আমি করোনার নানা উপসর্গে ভুগছিলাম। এর মধ্যেই মামার করোনা আক্রান্তের খবর জানতে পারি। এরপর নিজে থেকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে আসি। আজ (সোমবার) আমাকে জানানো হয়েছে যে, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এখন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছি।'ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, 'এখন আমাদের পরিবারে আমি ছাড়াও বাবা-মা ও এক ভাই আছেন।
তাঁদেরও পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেরকম সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমি যখন আমার নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলাম, তাঁরা সহজে নিতে চাচ্ছিলো না। এক মাসের বেশি সময় দিয়েছিলো নমুনা পরীক্ষা করার।' নিজের পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনার পরীক্ষা করাতে সহযোগিতা চেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।'বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) আমির হোসেন বলেন, 'আমাদের কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে আমরা তাঁর পাশে থাকবো সবসময়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।'
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর পুলিশ কর্মকর্তা বাবা গত ২২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। পরে পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর মায়ের করোনা পজিটিভ আসে।
গত ১৭ মে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার পর ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা করোনামুক্ত বলে নিশ্চিত করে। আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ২০ দিনের মাথায় সুস্থ হন তারা। শিক্ষার্থীর বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও, বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।