বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে আরও একজনের মৃত্যু
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৫৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে।
গতকাল রোববার দুপুরে এবং গত শুক্রবার গভীর রাতে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও দুই রোগী উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এ নিয়ে গত চার দিনে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তিন রোগীর মৃত্যু হলো।
হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন প্রথম আলোকে আজ সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৮ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩১ জন মারা যান। ২৩ জনই মারা যান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত রোগী মারা যান ৮ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পটুয়াখালীর, বরগুনার দুজন, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে মারা যান একজন করে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যায় মারা যাওয়া ৬৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বরিশাল বিভাগে গত বুধবার থেকে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এটা এক দিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে গত ৯ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে গত ছয় দিনেই শনাক্ত হয়েছে ১২১ জনের, যা মোট শনাক্তের ৩৫ দশমিক ৭৯ ভাগ। আজ নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই নার্সসহ ১৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন, বরগুনায় পাঁচজন ও পটুয়াখালী জেলায় একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশের ২০ জন ও তাদের পরিবারের আরও তিনজন মিলিয়ে ২৩ জন এবং ৪২ জন রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাতজন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও এরপর থেকে বাড়ছে। ১ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে ১৩ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর বাড়তে থাকে। তবে গত বুধবার থেকে সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।