কুমিল্লা ও মাদারীপুরে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত
কুমিল্লা ও মাদারীপুরে আজ রোববার একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। আর মাদারীপুরে একই সময়ে ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
কুমিল্লায় আজ শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সিটি করপোরেশনে ১১ জন, চান্দিনায় ২২ জন, দেবীদ্বারে ৯ জন, মুরাদনগর, মেঘনা ও বুড়িচংয়ে ৮ জন করে, লাকসাম, আদর্শ সদর ও দাউদকান্দি উপজেলায় ৩ জন করে, তিতাস ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ২ জন করে এবং হোমনা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন করে রয়েছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, আজ কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগী ৬০৭ জনে দাঁড়াল। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯০ জন। মারা গেছেন ২০ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আজ মুরাদনগরের একজনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, ২১ মে মধ্যরাতে ভবানীপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৪৮) করোনার উপসর্গ জ্বর, কাশি নিয়ে মারা যান। ২২ মে ভোরে আমরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করি। আজ তাঁর নমুনা পজিটিভ আসে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সূত্রমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ২৩৬ জনের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এর মধ্যে ২১ জনের পজিটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে রাজৈর ও কালকিনিতে ৭ জন করে, সদরে ৬ জন এবং শিবচরে একজন শনাক্ত হয়েছেন। রাজৈরে শনাক্ত হওয়া ৭ জনের মধ্যে দুজন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে এসে নমুনা দিয়েছিলেন।
সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় এখান মোট রোগী ৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। মোট সুস্থ ৪৬ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ জন। নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে ও হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।