নোয়াখালীতে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
নোয়াখালীতে আরও ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁরা করোনা 'পজিটিভ' উল্লেখ করা হয়।জেলা সিভিল সার্জন মো. মমিনুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গতকাল নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় অপর দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত (কোভিড–১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে । এদের মধ্যে ৫১ জনই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী চৌমুহনী পৌর এলাকার বাসিন্দা। আজ শুক্রবার নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের বাড়ি লকডাউন করাসহ পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন মমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। অপর দুজন সদর উপজেলার বাসিন্দা। করোনা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তিনি জেলা প্রশাসককে লকডাউন জোরদার করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যে হারে শহরের দোকানপাটে জনসমাগম বাড়ছে তাতে দ্রুত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে সুবর্ণচর উপজেলা ছাড়া বাকি আটটিতেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৫১ জন, সদরে ১৫ জন, সোনাইমুড়ীতে ১১ জন, হাতিয়ায় পাঁচজন, কোম্পানীগঞ্জে একজন, কবিরহাটে দুইজন, সেনবাগে একজন, চাটখিলে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় তিন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে তাঁদের মৃত্যুর পর। বাকি ৮৮ জনের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত বাকি ৬৮ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।