সাভারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২২

ঢাকার সাভারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সাভারে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে।

নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া পৃথক দুই পরিবারের মধ্যে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ও দুই শিশুপুত্র এবং এক প্রকৌশলী ও তাঁর বৃদ্ধ মা–বাবা, স্ত্রী এবং শিশুকন্যার করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য গত বুধবার ৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করে সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষা করে আজ ৩১ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।
এদিকে ধামরাই থেকে গত বুধবার একই ল্যাবে ১৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
আক্রান্ত প্রকৌশলী বলেন, তাঁরা একটি ফ্ল্যাটে দুই পরিবার বসবাস করেন। দুই কক্ষে মা–বাবা ও স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে থাকেন তিনি। অপর একটি কক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন এক পোশাককর্মী। গত রোববার ওই পোশাককর্মীর করোনা ‘পজিটিভ’ হয়। ওই দিন রাতে তাঁর আট বছরের মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরের দিন জ্বর ছেড়ে যায়। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের অন্য কারও করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। এরপরও সন্দেহের বশে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য গত বুধবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরিবারের সবার নমুনা দেন।
প্রকৌশলী আরও বলেন, মা–বাবা, স্ত্রী, শিশুকন্যাসহ তাঁর করোনা পজিটিভ হলেও তাঁদের কারও কোনো উপসর্গ নেই।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, তাঁর পরিবারের কারও করোনার উপসর্গ নেই। দিন দশেক আগে বাসায় তাঁর শ্বশুর এসেছিলেন। পরে তিনি (শ্বশুর) করোনায় আক্রান্ত হন। এ কারণে গত বুধবার তিনি পরিবারের সবার নমুনা পরীক্ষা করতে দেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, সাভারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলছে। প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ও তাঁরা কোন এলাকার বা পেশার, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সায়েমুল হুদা বলেন, শিগগিরই নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে বুথ স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া পোশাকশ্রমিকদের জন্য ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ডিইপিজেড) আশুলিয়া ও সাভারের একটি কারখানায় নমুনা সংগ্রহের জন্য পৃথক বুথ স্থাপন করা হবে।