মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলায় খুলনায় এএসআই গ্রেপ্তার
মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনা শিল্প পুলিশের উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক খান হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ মে তাঁর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে খুলনা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানায় হাসান খানসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুলিয়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র আমিন (৪০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ মে বেলা একটার দিকে তিনি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। তাঁরা শহরের বাঁকাল ইকোপার্কের সামনে পৌঁছালে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তাঁদের পথরোধ করা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর শুরু করা হয়। একই সময় তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে ও তাঁর বান্ধবীকে তাঁদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলে তুলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে শহরের শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে নিয়ে এসে হাতকড়া খুলে দিয়ে টাকা জোগাড় করার জন্য ফোন করতে বলা হয়। তিনি টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে কানে থাপ্পড় মেরে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সদর থানার সামনে এলে তিনি লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে থানার মধ্যে ঢুকে পড়েন। এ সময় ডিবি পুলিশের দারোগা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি থানায় না ঢুকে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁর বান্ধবীকে সদর উপজেলার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ মে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার খান হাসানের গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। এরপর গতকাল রাতে খুলনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়। বাদী গোপাল চন্দ্র আমিন এ ঘটনায় হাসানসহ দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অপর আসামি সাতক্ষীরা শহরের শেখ সাহেদ হাসান। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, সহকারী উপপরিদর্শক খান হাসান বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তিনি খুলনা শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।