রাজশাহীতেও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
ঈদ সামনে রেখে সরকারি নির্দেশনায় রাজশাহীতে আজ রোববার থেকে বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ। কিন্তু গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে এক আলোচনা সভায় হঠাৎ দোকানপাট না খোলার সিদ্ধান্ত আসে।
শনিবার রাতে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নগরভবনে আয়োজিত ওই সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি জানান, রাজশাহীকে করোনামুক্ত রাখতে তাঁরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন। এ জন্য বিপণিবিতার বন্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় বিপণিবিতানগুলো চালানো সম্ভব না।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, দোকান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত তাঁদেরকে রাতে জানানো হয়েছে। তাঁরা আজ রোববার বসে আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ, অনেকেই জেনে গিয়েছেন রাজশাহীর দোকানপাট ঈদ সামনে রেখে খুলছে। সব দোকানদারই প্রস্তুতি নিয়েছেন দোকান খোলার। অনেকে দোকান খোলার খবর শুনে শহরেও এসেছেন।
আজ রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, রাজশাহী শহরে অন্য দিনের তুলনায় মানুষ বেড়ে গেছে। দোকানপাট খোলার খবর শুনে সকালেই অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী শহরের এসেছিলেন। অনেক দোনকানপাটও সকালের দিকে খোলার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে অনেক দোকানমালিক জানতে পারেন, রাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্ধ রাখার। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান আরডিএ ও নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ দেখা গেছে। দু-একটি দোকান খোলার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়। পরে দোকানমালিকেরা চলে যান।
কয়েকজন দোকানমালিক ও কর্মচারী জানান, ৪ মে ঢাকায় সিদ্ধান্তের পর তাঁরা দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শনিবার বিকেলেও সিদ্ধান্ত ছিল দোকান খোলা থাকবে। রাতে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে গেল। এই সিদ্ধান্তের খবর তাঁরা জানতেন না। এতে তাঁরা কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, গত রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজশাহী নগরের দোকানপাট বন্ধ রাখার। রাতে সিদ্ধান্তের পর অনেকের কাছে খবর না–ও পৌঁছাতে পারে, এ ধারণা থেকে তাঁরা সকালে কয়েকটি বড় বিপণিবিতানের সামনে অবস্থান নেন। অনেক ব্যবসায়ী না জেনে এসেছিলেন। তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।