স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭৫০টি কেএন-৯৫ মাস্ক দিলেন ২৫ থাইল্যান্ডপ্রবাসী
থাইল্যান্ড পরবাসী ২৫ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুবিধাবঞ্চিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য থাইল্যান্ড থেকে তাঁদের পাঠানো ৭৫০টি কেএন-৯৫ মাস্ক সেভ দ্য ডক্টরস নামের সংগঠনের কাছে হস্তাান্তর করা হয়েছে। বুধবার এসব মাস্ক সরবরাহ করা হয়।
থাইল্যান্ডপ্রবাসী ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতালের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক রাকিবুল রাসু মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, 'করোনা মহামারির সময়ে সম্মুখযোদ্ধা হলেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনার এই সময়ে আমরা ২৫ জন থাইল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তহবিল গঠন করে ৭৫০টি কেএন-৯৫ মাস্ক চীন থেকে কিনে আনি। মাস্কগুলো সেভ দ্য ডক্টরস নামের বাংলাদেশি একটি সংগঠনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
সেভ দ্য ডক্টরস সংগঠনের কর্মকর্তা চিকিৎসক মাসুদ কবির প্রথম আলোকে বলেন, 'থাইল্যান্ড থেকে প্রবাসী ভাইদের পাঠানো ৭৫০টি কেএন-৯৫ মাস্ক আমরা হাতে পেয়েছি। মাস্কগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা জানি, চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক, নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রবাসী ভাইদের পাঠানো এই উপহার অনেক উপকারে আসবে। যে ২৫ জন প্রবাসী ভাই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাস্ক পাঠিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।'
সেভ দ্য ডক্টরস নামের সংগঠনটি চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কল্যাণে কাজ করছে।
থাইল্যান্ড প্রবাসী রাকিবুল রাসু জানান, ২৫ জন থাইল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি মিলে প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর চীন থেকে ৭৫০টি কেএন-৯৫ মাস্ক কিনতে সক্ষম হন। বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আরও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন তাঁরা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাস্ক কেনার জন্য অনুদান দিয়েছেন থাইল্যান্ড প্রবাসী ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শান্তি রঞ্জন পাল, সিয়াম ইউনিভার্সিটির প্রভাষক সাব্বির শুভ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আদনান ঐতিহ্য প্রমুখ।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, থাইল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো কেএন-৯৫ মাস্ক ঢাকার হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বগুড়া, সিলেট ও নওগাঁর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। করোনার এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই মাস্ক অনেক উপকারে আসবে। থাইল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ।