কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত আটজনের

কুমিল্লা জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দেবীদ্বার উপজেলার পাঁচজন, বরুড়ার দুজন ও লাকসামের একজন। বরুড়ার ব্যক্তিটি এর আগে আক্রান্ত পুলিশের একর উপপরিদর্শকের (এসআই) দাদি।


এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন মো. সাহাদাত্ হোসেন। তিনি বলেন, রোববারের আটজন নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৯২।
কুমিল্লার সংক্রমক প্রতিরোধ সমন্বয়ক চিকিৎসক নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ‌'কমিউিনিটি ট্রান্সমিশন' (এলাকার একজনের মাধ্যেম অন্যের সংক্রমিত হওয়া) দেখা দিচ্ছে। এ জন্য জনসাধারণকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। না হলে সবার বিপদ বাড়বে।
রোববার হাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরুড়া উপজেলার নতুন দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা। তিনি বরুড়া থানার এক এসআইয়ের দাদি। কয়েকদিন আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা ‌'পজিটিভ' আসে। উপজেলার নতুন আক্রান্ত অপরজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক (২৮)। লাকসামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনেশিয়ান ও করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের এক সদস্য (৪৮) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেবীদ্বারে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পৌরসভার নিউ মার্কেট এলাকার ১৫ বছরের এক কিশোরী, ১৭ বছরের কিশোর, ২৪ ও ২৫ বছরের দুই তরুণ ও ৩৫ বছরের এক নারী।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪টিতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেবীদ্বারের ২০ জন, তিতাসের ১১ জন, লাকসামের ১১ জন, দাউদকান্দির নয়জন, চান্দিনার নয়জন, বুড়িচংয়ের আটজন, মুরাদনগরের সাতজন, , মনোহরগঞ্জের চারজন, বরুড়ার পাঁচজন, হোমনার দুজন , ব্রাহ্মণপাড়ার দুজন, সদর দক্ষিণের দুজন এবং চৌদ্দগ্রাম ও মেঘনা উপজেলার একজন করে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তিতাসের চারজন ও বুড়িচংয়ের তিনজন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা গেছেন দেবীদ্বারের তিনজন ও চান্দিনার একজন।