হারানো মাকে ফিরে পেলেন ছেলে
ফিরোজা বেগম (৫৫) বড় ছেলে মো. সুমনের সঙ্গে ঢাকার খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় থাকতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরের কালিরতবুগ গ্রামে। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ফিরোজা ২০১৭ সালের জুনে হারিয়ে যান। গত ৩০ এপ্রিল সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে তাঁকে পাওয়া যায়। গতকাল শনিবার ছেলে ফিরে পান হারানো মাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজা বেগমকে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে। পরে বাংলায় কথাবার্তা শুনে তাঁকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে। বিজিবির সদস্যরা তাঁকে কোম্পানীগঞ্জ থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। বারবার জিজ্ঞেস করার পর তিনি স্বামীর নাম ও বরগুনার ঠিকানা বলেন। পরে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ফিরোজা বেগমের স্বামীর সন্ধান পাওয়া যায়। বাবার কাছ থেকে ছেলে সুমন মায়ের কথা জানতে পারেন।মাকে নিতে তিনি গতকাল সিলেটে যান।
সুমন প্রথম আলোকে বলেন, 'মা বাসা থেকে বের হলেও আবার ঘরে ফিরে আসতেন। যে দিন তিনি হারিয়ে যান, আমরা মনে করেছিলাম তিনি ফিরে আসবেন। এ জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করিনি। আমাকে বাড়ি থেকে জানানো হয়, সিলেটে আমার মাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। চিন্তা করছি তিনি সিলেটে কীভাবে গেলেন।' তিনি বলেন, ঢাকার থানা থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে লকডাউনের মধ্যে মাকে নিতে সিলেটে এসেছেন তিনি।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, 'শনিবার সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় গিয়ে ছেলে মাকে পেয়েছেন। মাকে নিয়ে ফিরে গেছেন ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও মা ছেলেকে চিনতে পেরেছেন। দীর্ঘদিন পর মা-ছেলে একে অপরকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অন্যরাও চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি।' মা–ছেলেকে ফিরে গিয়ে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।