চুয়াডাঙ্গার সেই ২৮ জনের ২৭ জনই করোনা 'নেগেটিভ'
একদিনে নমুনা পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা২৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। বেশির ভাগই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় তাঁদের ২৭ জনেরই প্রতিবেদন 'নেগেটিভ' এসেছে। ফলে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লকডাউন প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।
প্রথমে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে। দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ঢাকায় আইইডিসিআরে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী ওই ২৮ জনের মধ্য ২৭ জনই সুস্থ ও স্বাভাবিক। এঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগেরই ২২জন। তাঁদের শনিবার সকাল থেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে চুয়াডাঙ্গার ৫১ জনের নমুনা পাঠানো হয়।পরীক্ষায় ২৮জনকে করোনা 'পজিটিভ' বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।২২জনই ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের (চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মচারী)। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাতজন চিকিৎসক ও ১০জন অন্যান্য বিভাগের (উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা, ল্যাব টেকনিশিয়ান, চালক) । এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, দুজন নার্স ও দুজন ওয়ার্ডবয় ছিলেন। বাকিদের মধ্যে ছিলেন জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন সাধারণ নাগরিক। প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। পরদিন তা অমীমাংসিত বলে ঘোষণা দিয়ে আইইডিসিআরে পুনরায় নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ এপ্রিল রাতে আইইডিসিআরে পরীক্ষার প্রতিবেদন চুয়াডাঙ্গায় আসে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ইউএইচএফপিও) হাদী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়েছিল। সীমিত আকারে জরুরি বিভাগের সেবা ছাড়া বাকি সব সেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে ছিলেন। শুক্রবার লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার থেকে পুরোদমে চিকিৎসা-সেবা চলবে।
এদিকে আইইডিসিআরের পরীক্ষার প্রতিবেদন ২৮ জনের মধ্যে মাত্র একজনের করোনা 'পজিটিভ' এসেছে। আক্রান্তের বয়স ১৪ বছর। এই কিশোরের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ্ওয়ার্ডভুক্ত একটি গ্রামে। তার শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে। তাই বাড়িতেই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।