চেন্নাই থেকে ফিরলেন আরও ১৬৪ বাংলাদেশি

করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে লকডাউনের কারণে আটকে থাকা প্রায় এক হাজার বাংলাদেশিকে সরকার এরই মধ্যে ফিরিয়ে এনেছে। দ্বিতীয় দফায় আরও আটটি ফ্লাইটে চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতা থেকে ফেরত আনা হচ্ছে বাংলাদেশের আরও এক হাজারের বেশি নাগরিককে। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬৪ জন বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন। 

আজ দুপুরে দিল্লি থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ফেরা ১৬৪ জন যাত্রীর অধিকাংশই চেন্নাই, ভেলোর, বেঙ্গালুরুসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মুম্বাই ও কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের উদ্যোগে আগামী ৫ মে পর্যন্ত কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাই থেকে আরও সাতটি ফ্লাইটে বাকি বাংলাদেশি যাত্রীদের ঢাকায় পাঠানো হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১ ও ৩ মে কলকাতা, ২ ও ৫ মে দিল্লি, ৩ মে মুম্বাই এবং ইউএস বাংলা ১ ও ২ মে চেন্নাই থেকে বাংলাদেশের যাত্রীদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে।
চিকিৎসায় থাকা রোগী ও বিশেষ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য মানবিক কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় ফেরানোর অনুরোধে অনুমোদন দিয়েছে ভারত।
দিল্লি থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, ভারত সরকারের ঘোষিত লকডাউন ৩ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন রাজ্য এই সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বিমান, রেল, গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেরি হতে পারে। তাই যেসব যাত্রী বিভিন্ন কারণে সড়কপথে দেশে ফিরতে চান, তাঁদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছানোর অনুমতির জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও রোগীদের ক্ষেত্রে সড়কপথে ভ্রমণে চিকিৎসকের অনুমতি গ্রহণসহ নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পালন সাপেক্ষে বাসযোগে ভ্রমণের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গন্তব্যের দূরত্ব এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে বর্তমানে কোনো ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকতে পারে।
সড়কপথে দেশে ফিরতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠিত বা নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার পক্ষ থেকে সড়কপথে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের তালিকা, যানবাহন ও চালকদের বিবরণ, ভ্রমণপথের বর্ণনা, যাত্রারম্ভ, পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি ও গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময়সহ বিস্তারিত তথ্যাদি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। যেসব বাংলাদেশি সড়কপথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁরাসহ যাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণের জন্য প্রতিষ্ঠিত বা নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠালে হাইকমিশন ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, প্রত্যেক যাত্রীর অবশ্যই কোভিড-১৯ মুক্ত বা কোভিড-১৯ উপসর্গমুক্ত সনদ থাকতে হবে। সব যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।