নার্স-পুলিশসহ চারজন করোনায় আক্রান্ত
ফরিদপুরে নতুন করে একজন নার্স, একজন পুলিশ সদস্যসহ চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আজ নতুন করে যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনজন ভাঙ্গার ও একজন ফরিদপুর সদরের।
ফরিদপুর সদরের যাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে, তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি একজন পুলিশ সদস্য। তাঁর বয়স ২৮। তিনি পুলিশ হেড কোয়ার্টারে কর্মরত। তবে বর্তমানে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ওই পুলিশ সদস্য গতকাল সোমবার ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুর এসে করোনা চিকিৎসার জন্য উপাত্ত দেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
ভাঙ্গায় যে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন নার্সসহ দুই নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।
আক্রান্ত নার্স ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তাঁর বয়স ৪৩। শনাক্ত হওয়া অপর নারীর বয়স ৪০। তিনি উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা। পুরুষ ব্যক্তির বয়স ৪৩। তিনি উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া ওই তিনজনের মধ্যে নার্সকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অপর দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ওই দুটি বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের নমুনা নেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য। পাশাপাশি ওই দুটি বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরে এর আগে নগরকান্দা উপজেলায় চারজন এবং সদরপুর, চরভদ্রাসন, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একজন করে মোট আটজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে, একজন ঢাকায় এবং বাকি দুজন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।