যশোরে আইসোলেশনে থাকা দুজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ও দুপুরে তাঁরা মারা যান। করোনা পরীক্ষার জন্য দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মারা যাওয়া দুজন হলেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বর্ণি গ্রামের শাহীন হোসেনের স্ত্রী শাকিলা খাতুন (২৪)। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অন্যজন হলেন চৌগাছা উপজেলার জামিরা গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৬০)।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শাকিলা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। করোনার উপসর্গ দেখে তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রেজাউল ইসলাম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তাঁকেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ সকালে মারা যান।

তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল জানার আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের লাশ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ হস্তান্তরে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক দিলীপ কুমার রায় বলেন, দুজনই করোনাভাইরাসের সন্দেহভাজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল এখনো হাতে আসেনি। তারপরও করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ যে নিয়মে দাফন করা হয়, সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, দুজনের পরীক্ষার ফলাফল হাতে এলে তাঁদের পরিবারের স্বজনদের কোয়ারেন্টিন ও লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।