করোনায় আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে ৫-১০ লাখ টাকা, মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ পর্যন্ত
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হলে চিকিৎসক-নার্স-পুলিশ-সরকারি কর্মচারীরা গ্রেড ভেদে অর্থ পাবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে একটি পরিপত্র জারি করেছে। ১ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্র কার্যকর বলে গণ্য হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, '২০১৫–এর বেতনকাঠামো অনুযায়ী ১৫-২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন ৫ লাখ টাকা। আর মারা গেলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আর মারা গেলে পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা।
বলা হয়েছে, শুধু করোনাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ও সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিয়োজিত মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন। এর বাইরের কেউ পাবেন না।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারি কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের কেউ আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে সরকার। তাঁদের কেউ মারা গেলে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীদের দেওয়া হবে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে সরকার। তাঁদের কেউ মারা গেলে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীদের দেওয়া হবে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে।
আবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে। পরে অর্থ বিভাগ ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়ার সরকারি আদেশ জারি করবে। এ ক্ষতিপূরণ প্রচলিত অন্য যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশে বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে।