সিলেটে প্রবেশের ৫ পথে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সিলেটকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে আগেই। তবে লকডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে নিত্যপণ্য ও খাদ্যদ্রব্যবোঝাই যানবাহন, কৃষিপণ্য, চিকিৎসাসেবা এবং ব্যাংকিং সেবা সংশ্লিষ্ট জরুরি পরিষেবা। এবার এসব পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সিলেটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় তাপমাত্রা পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার থেকে সিলেটে প্রবেশের পাঁচ সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের চালক ও সহকারীদর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে যাতায়াতের অনুমতি দিচ্ছেন। পাশাপাশি যানবাহনে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে।
তল্লাশিচৌকিগুলো হচ্ছে ওসমানীনগর থানার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টোলপ্লাজা, বিশ্বনাথ থানার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মহাতাবপুর মোড়, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের মিয়াবাজার মোড়, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার মৌলভীবাজার-সিলেট সড়কে পালবাড়ি মোড় এবং বিয়ানীবাজার থানার বিয়ানীবাজার-বড়লেখা সড়কের বরইগ্রাম মোড়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল সিলেটকে লকডাউন ঘোষণা হয়। লকডাউনে সিলেটে প্রবেশ এবং বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে জরুরি পরিষেবা হিসেবে খাদ্যপণ্য পরিবহন করা যানবাহন, জরুরি ওষুধ পরিবহন এবং রোগী পরিবহন এর আওতার বাইরে ছিল। এবার জেলার পাঁচটি প্রবেশদ্বারে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য জরুরি পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জেলা পুলিশের সদস্যরা আধুনিক ‘হ্যান্ডহোল্ড থার্মোমিটার’ দিয়ে যাতায়াতকারীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহনের চালক ও সহকারী এবং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নিজেদের অজান্তেই তাদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আছে। এই ঝুঁকি কমাতে লকডাউনের আওতামুক্ত পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক থার্মোমিটারের মাধ্যমে শরীরের সঙ্গে কোনো সংস্পর্শ ছাড়াই এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে কারও শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা থাকলে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নির্দিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংক্রমিত কারও কাছ থেকে যাতে অন্য কেউ আক্রান্ত না হন, সে জন্য আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি। জেলার প্রতিটি থানায় সেবাপ্রত্যাশী এবং পুলিশ সদস্যদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য হ্যান্ডহোল্ড থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।’