নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন করোনামুক্ত
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশনে থাকেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। পরে পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষায় তাঁর নেগেটিভ আসায় করোনামুক্ত হলেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে তাঁর দ্বিতীয় দফার করোনা পরীক্ষায় প্রতিবেদন নেগেটিভ এসেছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘৯ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহের পর আইইডিসিআরে পাঠানো হলে পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। গত বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গতকাল শনিবার পুনরায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ওই পরীক্ষায় আজ বিকেলে তাঁর করোনা নেগেটিভ প্রতিবেদন আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরপর দুটি পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হওয়ায় আমি এখন করোনামুক্ত। আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘ ১৪ দিনে কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ১২ দিন শেষ হয়েছে। আর দুদিন বাড়িতে থাকার পর স্বাভাবিক নিয়মে অফিসে যাতায়াতসহ সবকিছু করতে পারব।’
উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজের নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর থেকে বাড়িতে আইসোলেশনে চলে যান। তাঁর জায়গায় জেলা সিভিল সার্জন দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) চৌধুরী ইকবাল বাহারকে। এর আগে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম আইসোলেশনে চলে যান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে চিহ্নিত করেছে আইইডিসিআর। ৮ এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করে আইএসপিআর। আজ রোববার পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০। করোনায় আক্রান্তের হার নারায়ণগঞ্জ সিটি ও সদর উপজেলায় বেশি।