ছেলের পর বাবা করোনায় আক্রান্ত
সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার, বারবার সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ নানা নির্দেশনা না মানায় করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি একই পরিবারের সদস্যরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। এ উপজেলার একটি গ্রামে ছেলের পর বাবাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল জেলার প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক যুবক শনাক্ত হন। এই ঘটনার তিন দিন পর এবার ওই যুবকের বাবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়েছেন। ওই যুবকের বাবার বয়স ৬০ বছর। তিনি ছেলের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে তাঁর শরীরে এখনো করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের ১৩ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত যুবকের বাবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। খবর পেয়েই গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ রোববার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে চাটমোহরে গ্রামের বাড়িতে এসে এক যুবক (৩২) ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত হন। ১৪ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠায়। ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। ১৭ এপ্রিল ওই যুবককে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন।