নীলফামারী জেলা লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নীলফামারী জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা তথ্য বিভাগ ওই নির্দেশনা প্রচার করে।

এর আগে ১০ এপ্রিল সকাল থেকে জেলায় সব ধরনের যানবাহন, গণপরিবহন প্রবেশ ও বহির্গমন বন্ধ আছে। ৯ এপ্রিল রাতে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক।

আজ দুপুরে জেলা লকডাউনের ঘোষণা মাইকে প্রচারণা চালায় জেলা তথ্য বিভাগ। গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জেলার ভেতরে সব ধরনের যানবাহন, দোকানপাট, সাপ্তাহিক হাট-বাজার, প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত যানবাহনের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠিান বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান, কৃষিপণ্য ও যন্ত্রাংশের দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক দিন–রাত সবসময় খোলা থাকবে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক কাঁচাবাজারের পণ্যসামগ্রী সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার পর্যন্ত জেলায় ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক, ৯ এপ্রিল সৈয়দপুরের একজন, ১১ এপ্রিল ডিমলার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ১৩ এপ্রিল জলঢাকার এক কলেজছাত্রের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'এর আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব নির্দেশনা দেওয়া ছিল সেটি মূলত লকডাউনের মধ্যেই পড়ে। তবে আতঙ্ক এড়ানোর জন্য আমরা সে দিন লকডাউন শব্দটি ব্যবহার করিনি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে লকডাউন ঘোষণা করে ওই আদেশ জারি করা হয়েছে। জেলার জনগণের নিরাপত্তায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।'