চাঁদপুর লকডাউন, নতুন করে ১৭৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
চাঁদপুর জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় ওই বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, করোনা মোকাবিলায় আরও বেশিসংখ্যক সেনাসদস্য প্রয়োজন। এ সময় তিনি বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে করোনার সংক্রমণ নিয়ে গত তিন দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ জন মানুষ নৌ পথ দিয়ে চাঁদপুরে ঢুকেছে। প্রশাসন তাদের আটকাতে না পারলেও জেলায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের মাধ্যমে তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। এরই মধ্যে আড়াই শ মানুষের তালিকা করা হলেও ১৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, চাঁদপুরে বিদেশফেরত ৪ হাজার ১০৮ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। তাদের সবাই গত তিন দিনে নদীপথ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রলার ও নৌকায় চাঁদপুরে ঢুকেছেন। এ ছাড়া আগে থেকেই করোনার উপসর্গ নিয়ে তিন ব্যক্তি চাঁদপুর সদর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদপুরে এখনো কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। তবে সর্দি জ্বর, কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ৭ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে শহর ঘুরে এই প্রতিবেদক দেখেছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে পালবাজার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় কয়েক শ ভ্যানে করে নানা ধরনের খাদ্যপণ্য বেচা-কেনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এ বিষয়ে সচেতন লোকজন প্রশাসনকে দ্রুত আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।