দিল্লিতে তাবলিগের অনুসারী ৭৩ বাংলাদেশি কোয়ারেন্টিনে
ভারতের দিল্লির নিজামউদ্দিনে গত মার্চ মাসে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেওয়া দুই শতাধিক বিদেশি নাগরিককে এখন কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রেখেছে ভারত সরকার। তাঁদের মধ্যে ৭৩ জন বাংলাদেশের নাগরিক। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের আরও ১০০ নাগরিক এখনো দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন। গতকাল শনিবার দিল্লির বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
নিজামউদ্দিন এলাকার মারকাজে (তাবলিগের প্রধান কেন্দ্র) সমাবেশে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৪২ জনকে রাখা (কোয়ারেন্টিনে) হয়েছে দিল্লির উত্তরাঞ্চলের নারেলা এলাকায়। বাকিরা দিল্লির বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র ও হাসপাতালে রয়েছেন।
এদিকে দিল্লির নিজামউদ্দিনে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁরা সবাই এখন ভারত সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রয়েছেন। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এই ১২ বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলেও খবরে বলা হয়েছে। অবশ্য এর আগে গত বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক খবরে বলা হয়েছিল, দিল্লিতে তাবলিগের সমাবেশে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া প্রায় ৯৬০ বিদেশি নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারত সরকার বৃহস্পতিবার তাঁদের ভিসা বাতিল করেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া বিদেশিরা এখন কোথায় অবস্থান করছেন, তা খুঁজে বের করতে দিল্লি পুলিশ ও অন্য রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে। এরপর ওই বিদেশিদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়া টুডে–এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১ থেকে ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামউদ্দিনে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ হয়। এতে অংশ নেওয়া ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তেলেঙ্গানায়। নিজামউদ্দিনে এক সমাবেশে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। ৯৮১ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। কাশ্মীরের ‘শত শত’ ব্যক্তি ওই মারকাজে যোগ দিয়েছেন।