রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে নার্স আইসোলেশনে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজশাহীতে এক নার্সকে (২২) আজ শনিবার আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। তাঁর সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা রয়েছে। পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কাল রোববার নাগাদ এ পরীক্ষা করা হতে পারে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীনে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই নার্স এই ইউনিটের দ্বিতীয় রোগী। গত শুক্রবার এ ইউনিটে চিকিৎসাধীন প্রথম রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হককে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে। এ মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ল্যাব বসানো হয়েছে।
জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল হক বলেন, রাজশাহীতে এই প্রথম একজন নার্সকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হলো। আগে একজন নার্স নিজের সিদ্ধান্তে ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। আজ যে ভর্তি হয়েছেন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু আজ তা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ল্যাবে আগে থেকে অনেক বেশি নমুনা এসে আছে। সেগুলোর পরীক্ষা হচ্ছে। এই নার্সের নমুনা হয়তো রোববার পরীক্ষা করা হবে।
ওই নার্স কোন হাসপাতালের—জানতে চাইলে আজিজুল হক এ তথ্য প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওই নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছে। সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে এই তথ্য প্রকাশ করলে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে কর্মরত অন্যরা মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারেন। হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এই জন্য তাঁরা আপাতত তথ্যটি প্রকাশ করবেন না।
চিকিৎসক আজিজুল হক আরও বলেন, ওই নার্সের আগে ২৯ মার্চ উচ্চমাত্রার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক কিশোরকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সে ছিল এ ইউনিটে ভর্তি হওয়া প্রথম রোগী। গত বুধবার ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ। শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বাড়ি ফিরে গেছে।
গত ২৬ মার্চ রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। ল্যাব প্রস্তুত করে ১ এপ্রিল থেকে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিনে পাঁচটি পরীক্ষা করা হয়। পর দিন বৃহস্পতিবার আগের দিনের নমুনা নিয়েই কাজ করা হয়। তৃতীয় দিন গত শুক্রবার পর্যাপ্ত নমুনা না থাকার কারণে পরীক্ষা করা হয়নি।