রাজশাহীতে দরজায় টোকা দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ সবজিবাজার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে সবজি বাজারে দেখা যাচ্ছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শহরের মানুষকে যাতে বাজারে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে শাক-সবজি কিনতে না হয়, সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ঘরবন্দী মানুষের দরজায় ভ্রাম্যমাণ সবজিবাজার নিয়ে হাজির হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরীক্ষামূলকভাবে নগরের রাজারহাতা ও কাদিরগঞ্জ এলাকায় সবজি বিক্রি শুরু করে। নগরবাসীর বাজারে যাওয়া ঠেকাতে এই ভ্রাম্যমাণ বাজার কর্মসূচি শুরু করা হয়। আজ বুধবার নগরের মালোপাড়া ও উপশহরের কয়েকটি এলাকায় সবজি বিক্রি করে তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের পরামর্শে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরএই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারা নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় ১৬ রকমের শাকসবজি বিক্রি করছে।প্রতিষ্ঠানটি এটি করছে বাজারের সবজি বিক্রেতাদের দিয়েই। সবজি বহনকারী ট্রাকে জেলা প্রশাসকের একজন ও কৃষি অধিদপ্তরের একজন লোক দেওয়া আছে, যাতে বেশি দামে সবজি বিক্রি না হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় দিন তাঁরা ৩০০ কেজি করে সবজি বিক্রি করেছেন। ভালো সাড়া পাওয়ায় ধীরে ধীরে এই সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক বলেন, রাজশাহী নগরের সবজি বাজারগুলোতে প্রচুর ভিড় থাকে প্রতিদিনই। প্রতিদিনই মানুষ সেখানে গিয়ে চড়া দামে সবজি কিনে থাকেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই তাঁরা মানুষকে ঘরে রাখতে প্রয়োজনীয় সবজির গাড়ি পাঠাচ্ছেন। সেগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবজিবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।