প্রচুর মানুষ বাড়ির পথে, মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সৃষ্ট এ যানজট আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও যানজটে ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি শুরু হবে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এই সুযোগে মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল বিকেল থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করেন। তবে বাস না পেয়ে মানুষ ট্রাক, পিকআপসহ অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা হন।
আজ সকাল আটটায় মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসে গিয়ে দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের দীর্ঘ সারি। আর ঢাকার দিকে কিছু যানবাহন চলছে।
ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি ট্রাকের চালক মতিন মিয়া জানান, ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রাত ১০টায় যাত্রা শুরু করেই যানজটে পড়েন তিনি। ১০ ঘণ্টা পর আজ সকাল আটটার সময়ও মির্জাপুর অতিক্রম করতে পারেননি। যদিও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মির্জাপুর পৌঁছাতে মাত্র দুই ঘণ্টা লাগার কথা।
গাইবান্ধাগামী পিকআপভ্যানের যাত্রী মো. আলম মিয়া ঢাকায় রিকশা চালান। রাত দুইটার দিকে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে এই ভ্যানে উঠেছেন। যানজটের কারণে চালক অনেক কৌশল করে চালিয়েছেন। তবু মির্জাপুর পৌঁছতে সকাল আটটা বেজে যায়। আলম মিয়া বলেন, ‘ঢাকায় কাম নাই। ভাইরাস আইছে। সব বন্ধ হইছে। এই জন্য বাড়ি যাইতেছি।’
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। রাস্তায় বাস চলছে না। বাস রিজার্ভ করে মানুষ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চার লেনের কাজ চলছে। পাশাপাশি হঠাৎ প্রচুর মানুষ ঘরমুখী হওয়ায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।