করোনাভাইরাস: ফেনীতে 'হোম কোয়ারেন্টাইনে' ৯ জন
ফেনীতে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত না হলেও সদ্য বিদেশ ফেরত নয়জনকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। ফেনী জেলার সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন আজ বুধবার এ কথা জানান।
সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত দুই দিনে জেলায় বিদেশ থেকে আসা নয়জনকে তাদের নিজেদের বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত এই নয়জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দেশে ফেরার পর তাদের বিমানবন্দরে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই নয়জনের মধ্যে ছয়জন ইতালি থেকে, দুজন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ও একজন চীন থেকে ফিরেছেন।
এদিকে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ১০৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে।
ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আটটি আলাদা কক্ষ নিয়ে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারে ওঠার সিঁড়িও আলাদা রাখা হয়েছে। তবে এখনো কেউ ভর্তি হয়নি।
আইসোলেশন সেন্টার থাকলেও করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসক, নার্স বা কর্মীদের এখনো কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। জেলায় চিকিৎসক, নার্স বা কর্মীদের এবং রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামও পাওয়া যায়নি। চিকিৎসা সরঞ্জাম জরুরি ভিত্তিতে পাওয়ার জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবুল খায়ের মিয়াজী।
মো. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সচেতনতায় জেলা পর্যায়ে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এবং জেলার সিভিল সার্জন সদস্যসচিব। স্থানীয় সাংসদ এই কমিটির উপদেষ্টা।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।