সেতুর দুই পাশে মরা মুরগি, পচা ডিম
জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের জামালগঞ্জ চারমাথা এলাকায় শ্রীখালের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশে খামারের মরা মুরগি ও হ্যাচারির পচা ডিম ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে খালের পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজন অতিষ্ঠ।
মুরগির খামারি ও হ্যাচারি শ্রমিকেরা এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কোন খামার ও হ্যাচারি থেকে এসব ফেলা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালগঞ্জ চারমাথা সেতুর আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়ার সময় লোকজনেরা আগে থেকে নাক চেপে ধরে সেতু অতিক্রম করছিলেন। সেতুর নিচে গিয়ে দেখা গেল, সেতুর দুই পাশে প্লাস্টিকের বস্তা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। এসব বস্তায় মরা মুরগি ও পচা ডিম ভরে রাখা হয়েছে। কুকুরেরা দল বেঁধে বস্তার ভেতর থেকে মুরগি টেনে বের করে খাচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামালগঞ্জে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। এ কারণে এলাকায় অনেক ছোট-বড় মুরগির খামার ও হ্যাচারি গড়ে উঠেছে। বেশির ভাগ খামার ও হ্যাচারির বর্জ্য (মরা মুরগি ও পচা ডিম) ফেলার জায়গা নেই। এসব খামার ও হ্যাচারির মালিকেরা শ্রমিক দিয়ে মরা মুরগি ও পচা ডিম প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে এনে রাতের বেলায় সেতুর নিচে ফেলছেন। এ ছাড়া সেতুর আশপাশে মুরগির খামারের বিষ্ঠা বস্তায় ভরে রাখা হচ্ছে। এসব বর্জ্যের কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে তাঁরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও হ্যাচারি মালিক আহসান কবির বলেন, বড় মুরগির খামারি ও হ্যাচারির মালিকদের নিজস্ব কূপ আছে। তাঁরা সেখানে মরা মুরগি ও পচা ডিম ফেলেন। ছোট খামারি ও হ্যাচারির মালিকেরা সেতুর নিচে মরা মুরগি ও পচা ডিম ফেলছেন।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।