মশকনিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ডিএসসিসির
এডিস মশা নিধনে ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গত রোববার রাজধানীতে এডিস মশার উৎসের ওপর একটি জরিপ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই জরিপের তথ্যমতে, ডিএসসিসির ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ ওয়ার্ডে এডিস মশার বেশি লার্ভার উপস্থিতি রয়েছে। ফলে এই ছয়টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে অধিদপ্তর। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে আগামী এক সপ্তাহ এসব এলাকার প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করবেন মশকনিধন কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকেরা। এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাঁরা ধ্বংস করবেন। এ ছাড়া বাড়ির মালিক বা বাসিন্দাদের লার্ভা ধ্বংসের কৌশল শিখিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, এডিস মশা বাড়ির ভেতর কোনো পাত্রে তিন দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে জন্মায়। তাই এ মশার উৎস ধ্বংস করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা ও এর চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তারপরও যদি কারও বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ ইমদাদুল হক বলেন, এডিস মশা নিধনে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তারপরও ডিএসসিসি ক্র্যাশ প্রোগ্রামসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগও করা হয়েছে। আশা করি, ডিএসসিসির সঙ্গে নাগরিকেরা সচেতন হলে এই মশা বংশবিস্তার ঘটাতে পারবে না।
ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনের সময় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।