শিক্ষা আইনের খসড়ার সংশোধনী চান পুস্তক ব্যবসায়ীরা
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত কিছু ধারা ও উপধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। সমিতির নেতারা দাবি করেছেন, নোট ও গাইড আর অনুশীলন বই এক নয়। দাবি আদায়ে আগামী সোমবার দেশের সব জেলায় বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন করবেন পুস্তক ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একই দিন দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপিও দেবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন। তিনি দাবি করেন, সরকার প্রবর্তিত সৃজনশীল পদ্ধতি সফলভাবে বাস্তবায়নে অনুশীলনমূলক বইগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থীরা তো বটেই, শিক্ষকেরাও এসব অনুশীলনমূলক বইয়ে দেওয়া নমুনা প্রশ্নগুলো দেখে সৃজনশীল পদ্ধতি রপ্ত করতে পেরেছেন। ফলে শিক্ষায় পাসের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বইগুলো প্রকাশিত না হলে সৃজনশীল পদ্ধতি এত দ্রুত এতটা সফলতার মুখ দেখত না।
সমিতির সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ায় সৃজনশীল অনুশীলন মূলক বইগুলোকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে এগুলোর প্রকাশনা সকল বিধিনিষেধমুক্ত রাখা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সহ সভাপতি কামরুল হাসান শায়ক বলেন, অনুশীলনমূলক বই বন্ধ করে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা সংকটের মধ্যে পড়বে।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত ধারা-উপধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়ে সমিতির আরেক সহসভাপতি শ্যামল পাল দাবি করেন এই ধারাগুলো বাস্তবায়িত হলে একাডেমিক বই বলতে কিছুই থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতা ওসমান গনি, বাংলাদেশ ওয়েব প্রিন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রব্বানি জব্বার, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাজধানী কমিটির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার প্রমুখ।